দেশের সব কারাগারে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারা কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা বলেছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শুনানির সময় হাইকোর্ট বলেন, কারাবন্দিদের চিকিৎসা পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার।
আদালতে জনস্বার্থে করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালে কারা চিকিৎসক সংকট নিয়ে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদনগুলো যুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন (রবিন)। এরপর ওই বছরের ২৩ জুন প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করা হয়। রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এই রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও অপর এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দীদের ধারণক্ষমতা, বন্দী ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রুলের শুনানিতে দেশের সব কারাগারে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এম জি