চাল ও সবজির দাম বেড়েছে

আপডেট: ২০১৫-১১-০৬ ১৭:৫৪:১৭


Bazar-Price

সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা। সবজির বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমছে। অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে তেমন কোন পরিবর্তন চোখে পড়েনি।

শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ, বাসাবো, কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব ধরণের চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় ধানের দাম বাড়ছে। এছাড়া সরকার ধান ও চাল বহনে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় চালের দামে তা প্রভাব ফেলেছে। মোটা গুটি স্বর্ণা প্রতিকেজি চাল ৩০-৩২ টাকা, বিআর আটাশ ৪০ টাকা, বিআর ঊনত্রিশ ৩৫-৩৬ টাকা এবং মিনিকেট ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে মাস খানেক পরেই ধানের মৌসূম শুরু হলে চালের দাম আবার কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে সবজির বাজারে অস্থিরতা যেন কাটছেই না। গত সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম কমে আসলেও আবার সেগুলোর দাম বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি আলু ৩০ থেকে ৩২ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা,  পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৬০- ৭০ টাকা, চিচিঙা ও ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৫৫ টাকায়, প্রতি আঁঁটি লাউ শাক ৩৫- ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১০-১৫ টাকা এবং কাঁচাকলার হালি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তরাঞ্চলের বন্যায় সবজির দাম যে বেড়েছে তা শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে। বাজারে শীতকালীন সবজি আসা শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে এর দাম কমে আসবে বলে আশার কথা শোনান ব্যবসায়ীরা।

তবে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম আরেক দফা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। আগের সপ্তাহেও যা বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। আমদানিকৃত পেঁয়াজও কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। রসুন আগের মতোই দেশিটা ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও চীনা ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং আদা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম আরেক দফা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় দেশি রুই ও কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, আমদানিকৃত রুই-কাতল ২৮০-৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০-১৫০ টাকা, বাটা মাছ ২০০-২৬০ টাকা, মাঝারি তেলাপিয়া ১৩০-১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৬৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৭০০-৮০০ টাকা এবং প্রতি জোড়া মাঝারি ইলিশ ১০০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ইলিশ ধরা ও বাজারজাতের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া বাজারে প্রচুর ইলিশ এসেছে। ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম নেয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা। এরচেয়ে বড়গুলো প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

মাংসের বাজারে এক গরুর মাংসের দাম নেয়া হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। খাসীর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগির দাম আরেক দফা কেজিতে ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। খামারের লাল ডিমের দাম আগের মতোই ৩০ থেকে ৩২ টাকা প্রতি হালি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

অন্যান্য পণের মধ্যে আটা খোলা ২৮ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি, ময়দা ৩০ থেকে ৩৪ টাকা, সয়াবিনের ৫ লিটার বোতল ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, এক লিটার বোতল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, খোলা একটি লিটার ৭৩ থেকে ৭৬ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা এবং চিনি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখ যায়।