দীর্ঘ ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে বাড়িঘরের বিদ্যুৎ বিল ও খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মুদ্রাস্ফীতি এভাবে লাফিয়ে বাড়ছে।
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ‘কঠোর কিন্তু প্রয়োজনীয়’ কর বৃদ্ধি এবং ব্যয় কমানোর ঘোষণা দেওয়ার এক দিন আগে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর বুধবার জানিয়েছে, ভোক্তা পর্যায়ে নিতপণ্যের দাম অক্টোবর থেকে আগের ১২ মাসে ১১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে, যা ১৯৮১ সালের অক্টোবরের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশের কাছাকাছি হতো, যদি সরকার গৃহস্থালির বিদ্যুতের বিল বছরে গড়ে দুই হাজার ৫০০ পাউন্ডে সীমাবদ্ধ রাখতে হস্তক্ষেপ না করতো।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদদের অধিকাংশই জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি সম্ভবত এখন শীর্ষে পৌঁছেছে। এর আগে তারাই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতি ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
আজ বৃহস্পতিবার একটি নতুন বাজেটের রূপরেখা দেবেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। রয়টার্সের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান দাম মোকাবেলায় ‘কঠিন তবে প্রয়োজনীয়’ সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সুদের হার বাড়ানোর জন্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের উপর চাপ বজায় রেখেছে সরকার। তবে বৃহস্পতিবার ঘোষিত কৃচ্ছতার মাত্রার অর্থ হতে পারে ঋণ নেওয়ার খরচ কম বাড়তে পারে।
সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন