সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে পারে। সে সম্ভাবনা এখনও রয়েছে, তবে চলতি নিয়োগে পদ সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে যে কথাবার্তা চলছিল তা আর বাড়ছে না। নিয়োগের ফলাফল প্রকাশের আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদেই নিয়োগ হচ্ছে। সে অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদেই নিয়োগ দেয়া হবে।
ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, কবে ফল প্রকাশিত হবে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তখন করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরে অবসরের কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। এজন্য চলতি নিয়োগে একসঙ্গে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা পদেই নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
অধিদফতরের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ২০২০ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বলা হয়েছিল, অবসরজনিত কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। সেটি ধরে ওই সংখ্যক শিক্ষককে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়াও চলছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসার কারণে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদেই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
কয়েকজন কর্মকর্তার আপত্তির কারণেই অতিরিক্ত ১০ হাজার শিক্ষক নেয়া যাচ্ছে না বলে সূত্রটি জানিয়েছে। তবে কোন কারণে তারা আপত্তি জানিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এএ