এক লাখ টাকার নিচে আমানত রয়েছে এমন গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে যাচ্ছে আলোচিত পিপলস লিজিং। শিগগিরই সাড়ে পাঁচশ আমানতকারীর হাতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা তুলে দেয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে আগামী বছরের মধ্যে এক হাজার গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ করবে তারা। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার ব্যক্তি আমানতকারীর পুরো অর্থ পরিশোধে আরও তিন বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান হাসান শাহেদ ফেরদৌস।
অস্তিত্বহীন কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সাধারণ মানুষের আমানত লুট করার আলোচিত নায়ক পিকে হালদার। যার থাবায় পথে বসেছেন পিপলস লিজিংয়ের ৬ হাজার আমানতকারী। প্রতিষ্ঠানটির ২ হাজার কোটি টাকার আমানতের মধ্যে এসব ব্যক্তির অর্থের পরিমাণ সাড়ে সাতশ কোটি।
মূলধন না থাকায় ২০১৯ সালে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। পরে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। এরপর প্রথম দফায় আমানতকারীদের ২৫ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক সভায় পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান হাসান শাহেদ ফেরদৌস।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম চালানোয় মাসে সাশ্রয় হচ্ছে প্রায় এক কোটি টাকা। আয় বাড়াতে বর্তমানে হাতে থাকা মূলধনের একটি অংশ দিয়ে আগামী জানুয়ারি থেকে গৃহঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালু করবে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে আগামী বছরের মধ্যে এক হাজার ব্যক্তি আমানতকারীকে অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় আমানতকারীরা অভিযোগ করেন, ছোট ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে তোড়জোড় দেখা গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান জানান, অর্থ আদায়ে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সাড়ে তিনশ মামলা হয়েছে।
এএ