সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গরম মসলা আমদানির অনুমতি না থাকলেও পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও শুকনো মরিচ আমদানি হয় উল্লেখযোগ্য হারে। এর মধ্যে গত চার মাসে বন্দরটি দিয়ে ৮০ কোটি টাকার বেশি রসুন আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত এসব রসুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়।
এদিকে জেলার মসলা আড়তগুলোয় রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাইকার ব্যবসায়ীরা। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রসুনের দাম প্রকারভেদে কেজিতে প্রায় ৩০-৩৫ টাকা কম।
এ বিষয়ে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৮৫০ টন। যার আমদানি মূল্য ৮০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ কোটি ৩ লাখ টাকা। তবে গত অর্থবছরের এই সময়ে এ বন্দর দিয়ে কোনো ধরনের রসুন আমদানি হয়নি বলে জানান বন্দরসংশ্লিষ্টরা।
ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, অনুমোদিত সব ধরনের মসলা পণ্যের পাশাপাশি প্রতি মাসে উল্লেখযোগ্য হারে রসুন আমদানি করে তার প্রতিষ্ঠান। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে এখন পর্যন্ত রসুন আমদানি প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহে ২৫ ট্রাক রসুন আমদানি হচ্ছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল হাসান বলেন, মসলা আমদানিতে বেশ ভালো পরিমাণ রাজস্ব আসে। কিন্তু এ বন্দরে সব ধরনের মসলা আমদানির অনুমোদন নেই। গত চার মাসে রসুন আমদানিতে ৪ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে।
এনজে