দিনাজপুরের হিলিতে পাইকারি বাজারে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৩ থেকে ২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে দাম কমে ২২ থেকে ২৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে বিক্রি হতো ২৮ টাকায়। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
রোববার (২০ নভেম্বর) হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় কম। তবুও দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে। কারণ, দেশের বাজারে দেশি পাতা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে জন্য মানুষ ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন না। আগের থেকে ক্রেতা অনেক কমেছে। আগে ১০ থেকে ২০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি হলেও বর্তমানে ৫ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করা কষ্টকর হয়েছে। আগামীতে আরও দাম কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা নিয়মিত ভারত থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী আমদানি অব্যাহত রেখেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশি নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম অনেকটাই কমেছে। যে জন্য স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করছেন না।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, শনিবার ভারতীয় ১৪ ট্রাকে ৩৮০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে।
এম জি