কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) সাতটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এগুলো উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার টিপরদী এলাকায় মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (এমআইইজেড) বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন, বেজার নির্বাহী সদস্য মো. আলী আহসান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, এমআইইজেডে বিনিয়োগ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেঘনা পিভিসি লিমিটেড, মেঘনা ফয়েল প্যাকেজিং লিমিটেড, সোনারগাঁও সোলার এনার্জি লিমিটেড ও মেঘনা বাল্ক ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বাণিজ্যিক উৎপাদন উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া কুমিল্লা ইকোনমিক জোন লিমিটেড, মেঘনা গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মেঘনা রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস লিমিটেডের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বাইরে অনুষ্ঠান থেকে এমআইইজেডে বিনিয়োগকৃত সাতটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, এমজিআইয়ের নতুন সাতটি প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি বাস্তবায়িত হলে সেখানে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এতে অন্তত ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এরই মধ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দেশে প্রথমবারের মতো মেঘনা গ্রুপ পিভিসি উৎপাদন করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, দেশে মোট সাড়ে তিন লাখ টন পিভিসির চাহিদা আছে। এর মধ্যে মেঘনা পিভিসি লিমিটেড পৌনে দুই লাখ টন উৎপাদন করবে। এর প্রায় পুরোটাই বিদেশি বিনিয়োগ। দেশে পিভিসি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে দেশ নতুন একটি প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হবে। অর্থনৈতিক বিকাশ ও দেশের জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মেঘনা গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষার সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এএ