[caption id="attachment_2333" align="aligncenter" width="643"] সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবিটি আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো[/caption]
শিশু সামিউল আলম রাজন (১৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আনোয়ারুল হক শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ আদেশ দেন।
সিলেট আদালতের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ এ তথ্য জানান।
এর আগে তাকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে সিলেটে আনা হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে রাত সোয়া ১০টায় সংবাদ ব্রিফিং করা হয়।
ব্রিফিংয়ে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আদালতে তোলা হবে।
সন্ধ্যায় কামরুলকে নিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কামরুলকে নিয়ে সৌদি আরব থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় পুলিশের তিন সদস্যের টিম। ওই টিমের সদস্যরা হলেন— পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন।
গত সোমবার তারা কামরুলকে দেশে ফেরাতে সৌদি আরবে যান। ইন্টারপোলের মাধ্যমে কামরুলকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজনকে চোর অপবাদ দিয়ে কামরুলসহ আরও কয়েকজন মিলে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ মোবাইল ফোনে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার তদন্ত শেষে মোট ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জনকে আগেই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর ১০ জুলাই প্রধান আসামি কামরুল জেদ্দায় পালিয়ে যায়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেখানে তাকে আটক করেন।