সরকার দেশের পাটকলগুলো বন্ধ করে সংবিধানকে বলাৎকার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, ‘পাটকল বন্ধ করে দেওয়ার পর পাট চাষি ও শ্রমিকেরা অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক শ্রমিক, চাষি আত্মহত্যা করেছে। এর মাধ্যমে সরকার কেবল পাট চাষি বা শ্রমিকদের পেটে লাথি মারে নাই, বরং এর মাধ্যমে সরকার সংবিধানকে বলাৎকার করেছে।’
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অতীত ও বর্তমান শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেনন বলেন, বর্তমানে দেশে মন্দা দেখা দিয়েছে, আবার সরকার নিজেরাই দুর্ভিক্ষের ভয় দেখাচ্ছে। তারা বলছে জানুয়ারিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এই মন্দায় আমাদের বিদেশি শ্রমিকদের ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে। শ্রমিকেরাই বিদেশ থেকে ডলার আয় করে দেশে পাঠায়। তাহলে দেশে কেন শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেবেন না, বেতন দেবেন না। এ সময় সামনে দেশের জন্য কঠিন দিন আসছে উল্লেখ করে তা মোকাবিলার জন্য শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এ সভায় মূলপত্র উপস্থাপন করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শরীফ শমশির। এ ছাড়া সভায় আলোচক ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
শ্রমিক আন্দোলনের কিংবদন্তি ও পুরোধা নেতৃত্ব কমরেড আবুল বাশার, কমরেড শাফিকুর রহমান মজুমদার, কমরেড নাসিম আলী, কমরেড এটিএম নিজামুদ্দিন, কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া ও কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদ স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা না থাকলে দেশের উন্নয়ন করে কোনো লাভ নাই। শ্রমিকেরা এ দেশের সকল উন্নয়নকাজের অংশীদার।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, এ দেশের রাজনীতিতেও শ্রমিক শ্রেণির গুরুত্ব অনিবার্য। অথচ বরাবরই তারা অবহেলিত থেকে যায়। এ অবস্থার অবসান এখন সময়ের দাবি।
এএ