আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা ৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল। পাবনার আপামর জনসাধাণের প্রত্যাশা নৌকার প্রার্থী হবেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
৬০ এর দশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন রেজাইল রহিম লাল। বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের অন্যতম নেতা এম মনসুর আলীর সরাসরি নির্দেশনায় ভারতে বাংলাদেশি শরণার্থী শিবিরের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরে বাংলাদেশ মাটি থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে পাশবিক শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে গ্রেফতার হয়ে সাড়ে তিন বছর কারাগারে বন্দী থেকেছেন। শত বাধা বিপত্তি, জেল-জুলুম, হুলিয়া, সামরিক স্বৈরাচার, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, রাজাকার, আল- বদর, জামাত শিবিরের পাশবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন নিজে এবং পারিবারিকভাবে।
[caption id="attachment_234228" align="alignnone" width="700"] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একান্ত সাক্ষাতে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল[/caption]
পাবনার রাজপথে তৃণমূল কর্মীদেরকে বুকে ধারণ করে আছেন দীর্ঘকাল। ছাত্র জীবন থেকেই প্রত্যক্ষ ভাবে এ জেলায় আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতে নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রেখেছেন। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে শুরু করে সবশেষ জেলার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ।
পাবনা জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও প্রশাসক হিসেবেও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অতীতের মতো নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান বাকী সময়।
রেজাউল রহিম লাল তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তিতে শিক্তিশালী অবস্থানে ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর তাই এ এলাকার তৃণমূলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে অনেক আগ থেকেই । এ আসনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতেও প্রস্তুত দলের নেতাকর্মীরা।
এএ