বেলজিয়াম ও মরক্কোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বিস্তর ফারাক। বেলজিয়াম দুইয়ে থাকলেও আফ্রিকার দেশটি আছে র্যাঙ্কিংয়ের ২২ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা সেই বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতল মরক্কো।
বেলজিয়ামের মুহুর্মুহু আক্রমণের মুখে প্রথমার্ধের সবটা সময় নিজেদের জাল অক্ষত রাখে মরক্কো। বিপরীতে প্রথমার্ধের ঠিক আগে গোল পেয়েছিল আফ্রিকার দেশটি। কিন্তু অফসাইডের কারণে রেফারি সেই গোল বাতিল করে দেন। মরক্কো অবশেষে দুই গোল পায় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শেষভাগে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হওয়ার বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মরক্কো। তবে হাকিম জিয়েখের সেই আক্রমণ কোনো বিপদ ছাড়াই সামাল দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। কিছুক্ষণ পর হ্যাজার্ড ভাইদ্বয়ের গোলের একটি চেষ্টা প্রতিহত করে মরক্কোর রক্ষণভাগ।
এরইমধ্যে আচরাফ হাকিমির বুলেট গতির একটি শট যায় বেলজিয়ামের পোস্টের একটু ওপর দিয়ে, নাহলে উদ্যাপনের উপলক্ষ পেয়েই যেতে পারত তারা। ৩২ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইন থমাস মুনিয়েরকে দারুণ এক বল বানিয়ে দেন। কিন্তু ডানপ্রান্তের ফাঁকা জায়গা থেকে মুনিয়েরের দুর্বল শট যায় মরক্কোর গোলরক্ষক মুনির মোহামেদি বরাবর, সেই বল দ্রুত গ্লাভসবন্দিও করেন তিনি।
বিরতির ঠিক আগে মরক্কো এগিয়ে যায়। ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি লক্ষ্যভেদ করে তারা। কিন্তু পরে ভিএআর রিভিউ চেক করে সেই গোল বাতিল করে দেন। ফলে হতাশ হয়েই বিরতিতে যান জিয়েখরা, গোল করতে না পারায় হতাশ তো বেলজিয়ামও।
পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ হয়ে যায় ম্যাচের ৭৩ মিনিটে। ওই সময় ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোল করেন মরক্কোর আবদেলহামিদ সাবিরি। কর্তোয়ার হাতের নিচ দিয়ে বল প্রবেশ করে জালে। যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল পায় তারা। সেই গোলটি আসে জাকারিয়ার পা থেকে।
এএ