জেলার মধুপুরে চলন্ত বাসে এক নারী গার্মেন্টস কর্মী (২৩) গণধর্ষণের শিকারের ঘটনায় তিন ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- ওই গাড়ির চালক নয়ন ও দুই সহকারী রেজা ও ভুট্টো।
ওই গার্মেন্টস কর্মীর স্বামী জানান, শুক্রবার সকালে গাজীপুরের খালার বাসা থেকে তার স্ত্রী টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। তিনি ধনবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে টিকেট কেটে বিনিময় পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। এক পর্যায়ে বাসটির চালক ও চার সহকারী তাকে একা নিয়েই যাত্রা শুরু করে। বাসটি গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে যেতে থাকলে ওই গার্মেন্টস কর্মী বিষয়টি জানতে চান। এ সময় বাসের জানলা-দরজা বন্ধ করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে বাসের চালকসহ মোট তিনজন তাকে গণধর্ষণ করেন।
পরে খবর পেয়ে তার স্বামী শুক্রবার দুপুরেই ঘটনার বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল বাস শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে যান। কিন্তু বিষয়টি আমলে না নিয়ে শ্রমিক নেতারা আগামী ৬ এপ্রিল মীমাংসার জন্য দিন ধার্য করেন। এরপর চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপতালের গাইনি চিকিৎসক রেহেনা পারভীন জানান, প্রাথমিকভাবে দেখে ধর্ষণের ঘটনা মনে হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘এ ঘটনা শুনেই হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভিকটিমের বক্তব্যের সূত্র ধরেই রাতে এ ঘটনার সাথে জড়িত তিন ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। ধর্ষিতার স্বামী বখতিয়ার বাদী হয়ে ধনবাড়ি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন।’ এই চাঞ্চল্যকর মামলা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করবেন বলেও জানান তিনি।