এখনি সাভারে যেতে চাচ্ছেন না ট্যানারি মালিকরা। এখন পর্যন্ত নির্মিত অবকাঠামোর প্রতি তারা আস্থা রাখতে পারছে না। এছাড়া জুনের মধ্যে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েও তারা সন্দিহান। ফলে আগামী জুন-জুলাই পর্যন্ত সময় চাচ্ছেন ট্যানারি মালিকরা।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু আমরা এখনি সেখানে যেতে পারছি না।’
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, সাভারে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরে আগামী জুন-জুলাই মাসের আগে সম্ভব হবে না। এই সময়টা শিল্পমন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হলেও মন্ত্রণালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে আজ থেকে রাজধানীর হাজারীবাগে প্রবেশ করতে পারছে না কোনো কাঁচা চামড়া। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ এপ্রিল শুক্রবার সকাল থেকে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এতে করে চামড়া শিল্পের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে জানান বিটিএ’র সাধারণ সম্পাদক। হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরে এ পর্যন্ত নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা সফল হয়নি।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু গত ১০ জানুয়ারি ট্যানারি মালিকদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ট্যানারি স্থানান্তরে। এতে কাজ না হওয়ায় আবার ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।
এর মধ্যে কোনো ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে তাদের প্লট বাতিলসহ সব সুযোগ-সুবিধা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।