ভারতে কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে দেশটির পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স তথা ক্রয় ব্যবস্থাপক সূচক (পিএমআই) বেড়ে ৫৫ দশমিক ৭ পয়েন্টে উঠেছে, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে অক্টোবরে পিএমআই সূচক ছিল ৫৫ দশমিক ৩ পয়েন্ট। পণ্যের নতুন ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি পাওয়ার সুবাদে উত্পাদন বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতি কমে আসায় উৎপাদনের পালে হাওয়া লেগেছে। অনেক দিন ধরেই ভারতের উৎপাদন খাতের পিএমআই সূচকের গড় ছিল ৫৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট।
রেটিং এজেন্সি তথা ঋণমান নির্ণয়কারী বহুজাতিক সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে, যা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কারখানাগুলোয় উৎপাদনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানে অগ্রগতি হয়েছে৷ সমীক্ষায় ৫০–এর ওপরে একটি মুদ্রণ উত্পাদন কার্যকলাপের সম্প্রসারণ নির্দেশ করে। নিচের একটি স্কোর যা সংকোচনের প্রতিনিধিত্ব করে। পিএমআই ও নন-পিএমআই সূচক ৫০ পয়েন্টের নিচে নামলেই সেটি সংকোচন হিসেবে চিহ্নিত হয়।
সংস্থাটি বলছে, ‘ভারতীয় উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আত্মবিশ্বাসী ছিল। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তাদের ব্যবসায়ের বিষয়ে আশাবাদী করে তুলেছিল। এতে পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল গত সোমবার ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) নিয়ে পূর্বাভাস দেয়। সংস্থাটি বলে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের জিডিপিতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এই পূর্বাভাস অবশ্য তাদের এর আগের প্রাক্কলনের চেয়ে কম। গত সেপ্টেম্বরে সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতিতে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ও পরবর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে।
২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতিতে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল৷ এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ লুই কুইজ তখন বলেন, ভারতের অর্থনীতি যেহেতু অভ্যন্তরীণ চাহিদানির্ভর, সেহেতু দেশটির ওপর বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থবিরতার তেমন প্রভাব পড়বে না।
সংস্থাটির মতে, বৈশ্বিক মন্দা ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো অভ্যন্তরীণ চাহিদানির্ভর অর্থনীতিগুলোয় কম প্রভাব ফেলবে।
এএ