স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন, প্রত্যেকের স্বক্রিয় অংশগ্রহণ এসডিজি অর্জন ত্বরান্বিত করবে। তাই সরকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জন শুনানি, জাতীয় উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, দারিদ্রতা, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে স্থায়ী উন্নয়ন করতে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে ধাপে ধাপে আগাতে হবে। প্রতি ৬০০০ মানুষের জন্য ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি হাসপাতাল কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশে দূর্নীতি, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যার শতভাগ সমাধান হয়নি। তবে বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন রয়েছে। সমালোচনা করার সুযোগ থাকলেও এই সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অস্বীকার করা উচিৎ নয়।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি বা ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়। শতভাগ বিদ্যুৎ এই সুবিধা সকল নাগরিকের কাছে পৌছেছে। এখনো আমাদের উৎপাদনের ১%ও কয়লা ভিত্তিক না। মিশ্র জ্বালানী না হলে ভবিষ্যতে যে কোনো প্রতিকুলতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই নিউক্লিয়ার, কয়লা, তরল জ্বালানী গ্যাস ও আমদানীকৃত গ্যাসে বিদুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এবং সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্রাকের সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশীদসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ।
এএ