চলতি সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে এশিয়ার প্রধান প্রধান চালের বাজার। নতুন করে ইন্দোনেশিয়ায় আমদানি চাহিদা বাড়তে শুরু করায় শস্যটির রফতানি মূল্য বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় স্বল্পমূল্যের চালের চাহিদা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ফ্রি অন বোর্ড চুক্তিতে ৪৪০-৪৪৫ ডলারে রফতানি হচ্ছে। এর আগের সপ্তাহে যা ৪৩৮ ডলারে রফতানি হয়েছিল। হো চি মিনভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, শক্তিশালী চাহিদার কারণে দাম বাড়ছে। বিশেষ করে স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাল আমদানি বাড়াচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।
এদিকে ভিয়েতনামে চালের রফতানি মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে কিউবার ক্রেতারা ঝুঁকছে তুলনামূলক সস্তা ভারতীয় চালের বাজারে। ভিয়েতনামের স্থানীয় বাজারে অব্যাহত কমছে চালের সরবরাহ। এর ফলে বেড়েই চলেছে দাম। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহে রফতানি মূল্য ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে চাল রফতানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ ভারত। চলতি সপ্তাহে দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৩৭৫-৩৮০ ডলারে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৩-৩৭৮ ডলার।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডাভিত্তিক রফতানিকারকরা জানান, আকর্ষণীয় মূল্যছাড়ে ভারতীয় চাল পাওয়া যাচ্ছে। এটি অন্যান্য সরবরাহকারী দেশ থেকে ভারতের বাজারে স্থানান্তরিত হতে ক্রেতাদের উৎসাহিত করছে। চলতি বছর ভারতের বাসমতি চাল রফতানি গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দাম বাড়া সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যের ক্রেতারা অন্তত এক প্রান্তিক ধরে তাদের মজুদ বাড়ানোর জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এনজে