চীনে ২০২৩ সালে আকরিক লোহার উত্তোলন ২৩ কোটি ৮০ লাখ টনে পৌঁছাবে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। মূলত নতুন কিছু প্রকল্প চালু হওয়ায় উৎপাদন বাড়বে। খবর এসপিগ্লোবাল।
বিনিয়োগ ব্যাংক অরিয়েন্ট সিকিউরিটিজের একজন গবেষক ২৯ নভেম্বর জানান, এতে দেশটির দীর্ঘমেয়াদে আকরিক লোহা কেনার হার অনেকাংশেই কমবে। বিশ্লেষকদের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে কভিড-১৯ মহামারী ও খনির নিরাপত্তাসংক্রান্ত কারণে শ্রমিকরা চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল। সেই সঙ্গে প্রকল্পগুলোও পিছিয়ে যায়। যে কারণে চীনের আকরিক লোহা উত্তোলন অনেকটাই কমে যায়।
সামনে যেসব প্রকল্প আসতে যাচ্ছে, সেগুলোর কারণে ২০২৩ সালে আকরিক লোহার উত্তোলন ৮০ লাখ থেকে এক কোটি টন বাড়বে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আকরিক লোহা আমদানিতে চীনের নির্ভরতা বাড়লেও ভবিষ্যতে তা কমতে থাকবে। কেননা অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে সক্ষমতা বাড়ছে। পাশাপাশি স্টিল স্ক্র্যাপ ব্যবহারের হারও বাড়ছে।
এ বিষয়ে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর শেষে চীনের আকরিক লোহা উত্তোলন ২ শতাংশ কমে ১১০ কোটি টনে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে আরো ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে উত্তোলন ১০৮ কোটি ৭০ লাখ টনে নেমে আসার বিষয়েও জানানো হয়েছে। চীন তাদের শিল্প-কারখানায় যে ইস্পাত ব্যবহার করে, সেটি তৈরির জন্য ১০০ কোটি টন ধাতু আমদানি করে থাকে। যার অধিকাংশ সরবরাহই আসে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল থেকে।
এনজে