মূল্য সংযোজন কর বা মূসক আদায় যন্ত্র ইলেকট্রনিকস ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি)-এ রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ৬ শতাংশ বাড়লেও চালান ইস্যু কমেছে ১ শতাংশ। গত অক্টোবরে ইএফডি থেকে ৩০ কোটি ৪০ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হলেও নভেম্বরে ৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ইএফডিএমএস থেকে ইস্যুকৃত চালানের ওপর ২৩ তম ড্র অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি সদস্য ড. মইনুল খান।
অক্টোবরে ইএফডিতে ইনভয়েস ইস্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৮৯ হাজার। যা নভেম্বরে ১ শতাংশ কমে ৩১ লাখ ৭১ হাজার হয়েছে বলে জানান তিনি।
মইনুল খান বলেন, রাজস্বের পরিমাণ কিঞ্চিত বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। ইএফডির আরও বেশি প্রচার দরকার।
এ প্রসঙ্গে ড. মইনুল খান বলেন, ভ্যাট সপ্তাহ ও জাতীয় ভ্যাট দিবসকে সামনে রেখে ভ্যাট কমিশনারেটগুলোতে বিশেষ জরিপ করতে ভ্যাট কমিশনারেটগুলোতে বিশেষ সার্ভে করছে। তারা ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো খুঁজে বের করবে। কমিশনারেটগুলো নিশ্চিত করবে তাদের আওতাধীন ভ্যাট আদায় করার মতো প্রতিষ্ঠান নেই।
নভেম্বরের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চালানের ওপর ভিত্তি করে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। যেখানে মোট ১০১ জন বিজয়ীর চালান নম্বর ঘোষণা করা হয়।
এবারের ইএফডিতে ১ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে। প্রথম পুরস্কারের চালান নম্বর- 002422CYOHCQL189।
মইনুল খান বলেন, চলতি মাস পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৩০ মেশিন বসানো হয়েছে। আমাদের তিন লাখ ইএফডি মেশিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ভ্যাট লটারির প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও জোরদার করা হচ্ছে। লটারির আওতায় বাড়ানোর চিন্তা করছি। অ্যাপসের মাধ্যমে লটারির পুরস্কার দেওয়া যায় কি না ভেবে দেখছি।
২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
এএ