ব্যাপক মূল্যছাড় থাকায় ভারতের ভারতের পরিশোধন কেন্দ্রগুলোয় সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের তুলনায় গত মাস ধরে বিপুল পরিমাণ পাম অয়েল আমদানি করেছে। গত নভেম্বরে ভারতে পাম অয়েল আমদানি এক মাসের ব্যবধানে ২৯ শতাংশ বেড়েছে। পাঁচজন ডিলার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিলারদের দেয়া তথ্যমতে, গত মাসে ভারত ১১ লাখ ৪০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময় আমদানি করা হয়েছিল ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩৯ টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আমদানি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল আমদানিকারক দেশ। ঊর্ধ্বমুখী আমদানির মাধ্যমে দেশটি ইন্দোনেশিয়ায় মজুদ কমাতে সাহায্য করছে। পাশাপাশি বাড়ছে মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শ পাম অয়েলের দামও। কিছুদিন আগে বাজার আদর্শটির দাম লক্ষণীয় মাত্রায় কমে গিয়েছিল।
জিজিএন রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার রাজেশ প্যাটেল বলেন, পাম অয়েল আমদানি বেড়েছে, কারণ এটি বর্তমানে অন্যান্য ভোজ্যতেলের চেয়ে অনেক সস্তা।
ডিলাররা জানান, গত নভেম্বরে সরবরাহের জন্য বেশির ভাগ পাম অয়েলের ক্রয়াদেশই তারা গত অক্টোবরে দিয়েছিলেন। ওই সময় প্রতি টন পাম অয়েলের দাম সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের তুলনায় অন্তত ৫০০ ডলার কম ছিল। ইন্দোনেশিয়া মজুদ কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভারতের কাছে মূল্যছাড়ে এসব পাম অয়েল বিক্রি করছে।
এমনকি চলতি মাসেও পাম অয়েল আমদানি প্রায় ১০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছেন মুম্বাইভিত্তিক ডিলাররা। তবে আগামী বছরের শুরুতেই এটি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ গত কয়েক সপ্তাহে মূল্যছাড়ের হার কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারি নাগাদ তা আরো কমতে পারে।
এদিকে পাম অয়েল আমদানি বাড়লেও সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ কমেছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার টনে। তবে সূর্যমুখী তেল আমদানি ১০ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।
ভারত মূলত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে পাম অয়েল আমদানি করে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করা হয় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।
ডিলাররা জানান, আগামী জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে ব্যয়, বীমা ও জাহাজীকরণসহ (সিআইএফ) প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েল প্রস্তাব করা হচ্ছে ১ হাজার ১৫ ডলারে। সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে যা ১ হাজার ২৮০ ডলার।
এনজে