বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম রাখা হয়েছে 'মানদৌস'। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ও গতিমুখ বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদেরা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসার আশঙ্কা কম। তবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে আসার কোনো শঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর দেশের উত্তরাঞ্চল এবং অন্যান্য স্থানে তাপমাত্রা কমতে পারে। কুয়াশা ও শীতের দাপটও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।