কিশোরগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের সোনালি হাসি
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২২-১২-০৯ ১৮:৩০:৩৪
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কিশোরগঞ্জে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। সে সঙ্গে বাজারেও সন্তোষজনক দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে সোনালি হাসি। এবার ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে দেখা যায়, যতদূর চোখ যায় মাঠের পর মাঠ সোনালি ধানের সমাহার। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। পাকা আমন ধানের ক্ষেতে নানা রঙের পাখিদের ওড়াউড়ি।
করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী এলাকায় মেয়ের জামাই ও দুই নাতিকে নিয়ে পাকা ধান কাটছেন কৃষক আ. সোবহান। তার চোখে-মুখে হাসি লেগে আছে। তিনি জানান, এবার ৫২ কাটা জমিতে আমানের আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। কাটা প্রায় শেষের দিকে। এরইমধ্যে কিছু ধান বিক্রি করেছেন এক হাজার তিনশ টাকা মন দরে।
মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি আর বাড়তি জ্বালানির দামে বিপাকে পড়েন কৃষকেরা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার কিশোরগঞ্জে আমনের ফলন ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটছেন কৃষক। একই সঙ্গে চলছে ধান মাড়াই-ঝাড়াই ও শুকানোর কাজ। জমির পাশেই ধান সেদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে বাড়িতে নিতে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণিরা। শুধু বাম্পার ফলনই নয়, বাজারে ধানের দামও ভালো থাকায় খুশি ঝরছে প্রতিটি কৃষকের মুখে।
কৃষকরা জানায়, এ বছর আশার চেয়ে ধান বেশি হয়েছে। দামও বেশি পেয়েছি। এবার মনেহচ্ছে আমাদের পরিশ্রম সার্থক।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, মৌসুমের শুরুতে খরা, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের ফলে কৃষকরা চিন্তায় ছিলেন, তবে সিত্রাংয়ের প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তা আমন ফসলের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। আমরা আশাকরছি, এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
চলতি মৌসুমে জেলায় ৮২ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬২ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন চাল।
এএ