শনিবার দিবাগত রাতে ঝড়ো বৃষ্টিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন ভবনের সামনে ও চত্বরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রোববার সকালে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন।
সকাল থেকেই রাবি ক্যাম্পাসে দেখা যায়, রাতের ভারী বৃষ্টির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্ট্যান্ড, দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার পর্যন্ত রাস্তা, পরিবহন মার্কেটের সামনে, শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনের সামনে, টুকিটাকি চত্বর, লোকপ্রশাসন চত্বরসহ বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনের রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা পানিতে আটকে থাকা রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছে।
ফোকলোর বিভাগের মার্স্টাসের শিক্ষার্থী তানিয়াহ মাহমুদা তিন্নি বলেন,রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে ক্যাম্পাসের সকল এ্যাকাডেমিক ভবন, বিভিন্ন চত্বরে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাস্তায় পানি আটকে থাকার কারণে স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। যথাসময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছি না। আসলে এই ধরনের জলাবদ্ধতায় আমার মতো মেয়েদের চলাচল করতে বিপাকে পড়তে হয়। আসলে এমনটি কেন হবে? এই ধরনের জলাবদ্ধতার জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমস্যাকে দায়ী করেন।
ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে বেশ কয়েক বছর ধরে আছি। হালকা বৃষ্টিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তারপরও কোন সুব্যবস্থা নেয়া হয় না এই ধরনের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য। এ পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে দায়ী করেন তারা।
তারা আরো বলেন, ‘ক্লাস করতে এসে স্যান্ডেল হাতে নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি, যথাসময়ে ক্লাসে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ড্রেনগুলোতে ময়লা জমে থাকায় পানি খুব ধীরে পানি প্রবাহ হচ্ছে। আর ভারী বৃষ্টির কারণে বেশি পানি আটকা পড়েছে। তবে স্টুয়ার্ড শাখার কর্মচারীরা সর্বাত্মক সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ‘রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে পানি ড্রেনে আটকে আছে। পানি বের হতে পারছে না। যত দ্রুত সম্ভব পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করা হচ্ছে।’