ইন্দোনেশিয়া চলতি মৌসুমে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল উৎপাদন কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শীর্ষ উৎপাদক দেশটি থেকে সরবরাহও কমতে পারে। ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভোজ্যতেলের বাজার আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে খাদ্যশস্য এবং তেলবীজ রফতানিসংক্রান্ত চুক্তি চার মাসের জন্য সম্প্রসারিত হওয়ায় এতে ভারসাম্য আসতে পারে।
সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল ও সয়াবিন তেল উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের মাঝামাঝি ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় চাষীরা উৎপাদন কমিয়ে দেন, যা পুরো বছরের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে উন্নত সার ব্যবহারের অভাবও উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ৪ কোটি ৪৭ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ইউএসডিএ জানায়, বিদেশের বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ জৈব জ্বালানির চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ কারণে শিল্প খাতে পাম অয়েলের চাহিদা পূর্বাভাস বাড়িয়ে ১ কোটি ৫ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ১৭ শতাংশ কমে ২ কোটি ২৩ লাখ টনে নেমেছে। পণ্যটি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ সংক্রান্ত পলিসির কারণে রফতানি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তবে ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে রফতানি ২ কোটি ৯০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। শক্তিশালী চাহিদার পাশাপাশি দামের দিক থেকে অন্যান্য ভোজ্যতেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় রফতানি বাড়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু উৎপাদন কমলে এ প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
এনজে