চলমান কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড । এই ম্যাচে বলের দখলে ও আক্রমণে এগিয়ে ছিলো ইংল্যান্ড। পিছিয়ে ছিলো গোলে। প্রথমার্ধে হজম করা গোল দ্বিতীয়ার্ধে শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে রাখে ইংলিশরা। গোল করে যুদ্ধের ব্যাটন হাতে এনে দেন ফ্রান্স স্ট্রাইকার জিরু। পরেই 'উপহার' হিসেবে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হ্যারি কেইন ওই সুযোগ জলাঞ্জলি দেন। তার ভুলে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ২-১ গোলে জিতে হাতে পেয়ে যায় কাতার বিশ্বকাপের টিকিট।
রক্ষণ-আক্রমণের সঙ্গে আসরের উড়ন্ত ফর্ম মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে ছিল দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স। তবে বিশ্বকাপ জয় লক্ষ্য ধরে আসা ইংলিশরাও খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না। ব্রাজিল, পর্তুগালের অঘটন ম্যাচ দুই ইউরোপিয়ান দলের লড়াইকে আরও হাইভোল্টেজ করে তুলেছিল। প্রধমার্ধে উত্তাপ ছড়ানো ওই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় লেস ব্লুজ খ্যাত ফ্রান্স।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে বক্সের বাহির থেকে দুর্দান্ত এক শট নেন ২০ বছরের কোটা পেরোনো তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার অঁরেলিন চুয়ামেনি। অ্যান্তোনি গ্রিজম্যানের বল ধরে জোরের ওপর শট নেন চলতি মৌসুমে ১০০ মিলিয়ন ইউরোয় রিয়াল মাদ্রিদে নাম খেলানো এই তরুণ। তার ওই গোলেই প্রথমার্ধ লিডে শেষ করে ফ্রান্স।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইন পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরান দলকে। এরপর লিড নেওয়ার জন্য ইংলিশরা আক্রমণের ধার বাড়ায়। হ্যারি মাগুইরা দারুণ এক হেডে লিড নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। বুকোয়াকা সাকার জোরের ওপর নেওয়া শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। দুটি সুযোগ হারান হ্যারি কেইনও। সঙ্গে ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিস ছিলেন বাজপাখির ভূমিকায়।
ওই সুযোগেই পাল্টা আক্রমণে শক্তিশালী ফ্রান্স ম্যাচের ৭৮ মিনিটে লিড নেয়। তার একটু আগেই পা বাড়িয়ে দারুণ এক টাচ দিয়েছিলেন অলিভার জিরু। দারুণ দক্ষতায় ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড তা ফেরান। কিন্তু পরেই গ্রিজুর ক্রস থেকে বুলেট গতির হেড করে বল জালে পাঠিয়ে দেন এই নাম্বার নাইন। মাত্র ছয় মিনিট পরে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। কিন্তু হ্যারি শুধু পেনাল্টি মিস নয় কোটি প্রাণের স্বপ্নই ভেঙে দেন। ওখানেই আসর থেকে ইংল্যান্ডের বিদায় লেখা হয়ে যায়। ফ্রান্স ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আফ্রিকার আরব দেশ মরক্কোর মুখোমুখি হবে।
এনজে