প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার টিকা আমরা বিনামূল্যে দিয়েছি। বিশ্বের অনেক ধনী দেশও তাদের জনগণকে বিনামূল্যে টিকা দিতে পারেনি। বিনামূলে টিকা দিতে গিয়ে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়ছে।
অর্থনীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনার পরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। গ্রেট ব্রিটেনের মতো দেশও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়েছে। কিন্তু সেখানে আমাদের অবস্থান অনেক ভালো। আমরা অর্থনীতি চাকা সচল রেখেছি।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের তিন জেলায় তিনটি ডিজিটাল প্রকল্প উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের কারণে আমাদের করোনা মহামারির সময় কোনো কাজ থেমে থাকেনি। যদি ডিজটাল বাংলাদেশ না হতো তাহলে করোনার সময় সব স্থবির হয়ে যেত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া কার্যক্রম স্থাগিত হয়ে যায়। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। কিন্তু পিছিয়ে থাকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এ কার্যক্রমে পিছিয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারাও শুরু করে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ছাড়াও রাজশাহীতে স্থাপিত ‘জয় সিলিকন টাওয়ার’, ‘বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম’ ও ‘বঙ্গবন্ধু সিনেপ্লেক্স’এর উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে জাতীয়ভাবে এবং নিয়মতান্ত্রিক ষষ্ঠ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি। দিবসটি উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশীজনদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।
এম জি