খুলনায় পুলিশ পরিচয়ে নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশতাক আহমদ।
গ্রেপ্তার চারজন বেলাল মোড়ল, আজিজুর রহমান মিঠু, জিহাদ মুন্সি ও রাসেল। এদের মধ্যে বেলাল ও আজিজুর ইজিবাইক চালক, জিহাদ বেকারি শ্রমিক ও রাসেল স্থানীয় একটি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ওই নারীকে আড়ংঘাটার বাইপাস সড়ক এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসি (ওসিসি) সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশতাক আহমদ বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা বাজার এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যান ওই নারী। সন্ধ্যায় বাইপাস মোড় থেকে আড়ংঘাটা বাজার যাওয়ার পথে চার ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের পথরোধ করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে বাড়ির ছাদে নিয়ে নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা মোবাইলফোনে ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়।
পরে গভীর রাতে ছেড়ে দিলে স্বামীকে নির্যাতনের বিষয়ে জানান ওই নারী। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারীকে খুমেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।’
র্যাব কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে কেএমপির আড়ংঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে র্যাব-৬ এর একটি দল গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, ‘আড়ংঘাটা বাইপাস সড়ক এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন আমাদের আটকায়। তারা আমাদের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। পরে আমার স্ত্রীকে অন্য জায়গায় নিয়ে নির্যাতন করে। সর্বশেষ রাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের সড়কে ছেড়ে দেয় তারা।’
র্যাব কর্মকর্তা মোশতাক আহমদ আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার চারজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। ফোনে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও মিলেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের আড়ংঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এএ