সব মানুষের স্বভাব একই রকম নয়। কেউ খুব প্রাণখোলা হন, সহজেই মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন। আবার কেউ চাপা স্বভাবের হোন। খুব কাছের মানুষ ছাড়া সহজে কারো সঙ্গে মিশতে পারেন না।
ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন জীবনযাত্রা ও এছাড়া আরো নানা কারণে আমাদের স্বভাবের এমন নানা বৈসাদৃশ্য তৈরি হয়। যারা বহির্মুখী হোন তারা ভালো কথা বলতে পারেন, সহজে সকলের সঙ্গে মিশতে পারেন। জীবন তাদের জন্য অনেকটা সহজ হয়।
আর যারা অন্তর্মুখী হন তারা স্বভাবে শান্ত, ধীর হোন। অন্যের সঙ্গে সহজে মিশতে পারেন না। লাজুক হওয়ায় অনেক জায়গায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় তাদের।
কয়েকটি বিষয় মেনে চললে চাপা স্বভাবের মানুষেরাও আনন্দে কাটাতে পারবেন।
* অন্তর্মুখী হলেও যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু বলুন। উচিত কথা বলুন। এর ফলে অন্যেরা আপনাকে বুঝতে পারবে। অর্থহীন বা নেতিবাচক আলোচনায় অংশ নেওয়ার চেয়ে চুপ করে নিজের মতো থাকা অনেক ভালো। এছাড়া কথা কম বললেও কী ও কতোটা বলতে হবে সেই কথাগুলো খুব সাবধানে বেছে নিন।
* নিজেই নিজের চালক হোন। মনে কোনোরকম অপরাধবোধ জমিয়ে রাখবেন না। নিজেই নিজের ওপর অধিকার জমিয়ে রাখুন। যে অবস্থাতেই থাকুন, তাতে গর্ব থাকা উচিত। বাইরের কাউকে নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ চালাতে দেবেন না।
* সবার মতো আপনারও ভালো করে বাঁচার অধিকার রয়েছে। তাই যেটা আপনার মনে চায়, তা করুন। কারো চাপের কাছে মাথা নত করবেন না।
* অন্তর্মুখী হোন বা বহির্মুখী সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত। তাহলে আনন্দে বাঁচার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না। অন্যকে কষ্ট দিলে সেই কষ্ট নিজের মনেও এসে দাগ কাটবে। অন্যকে অসম্মান করে নিজেকে ছোট করবেন না। যাকে যতোটা সম্মান প্রয়োজন ততটাই দিন।
* নিজেকে অবহেলার সুযোগ যেমন কাউকে দেবেন না, তেমনই কেউ আপনার দ্বারা অবহেলিত হোন, সেটাও যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখুন।