চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে ৫১৩ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারতীয় দল। তবে ১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে গড়তে হবে বিশ্বরেকর্ড। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল ৬ উইকেটে ২৭২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে। ফলে শেষ দিনে বাংলদেশের দরকার ২৪১ রান, হাতে আছে ৪ উইকেট।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল টাইগাররা। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিষিক্ত জাকির হাসান প্রথম সেশনে কোনো বিপর্যয় হতে দেননি। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাক মারা শান্ত ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন, যেটি তার ১৫ ইনিংস পর ফিফটি।
তবে দ্বিতীয় সেশনে দলীয় ১২৪ রানে উমেশ যাদবের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে দেন শান্ত। স্লিপে থাকা বিরাট কোহলি সেই ক্যাচ মিস করে দিলেও ভাগ্যক্রমে গ্লাভসবন্দী করেন উইকেটকিপার রিশভ পান্ত। বিদায়ের আগে ১৫৬ বলে ৭টি বাউন্ডারিতে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত।
প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলার পর সেশনে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অক্ষর প্যাটেলের বলে ৫ রান করা ইয়াসির আলী রাব্বি বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপর কুলদ্বীপ যাদবের বলে উমেশ যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে দেন ১৯ রান করা লিটন দাসও।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে অভিষেক টেস্টে দারুণ এক ইনিংস খেলে তুলে নেন সেঞ্চুরি ওপেনার জাকির হোসেন। যার ফলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবুল হাসান রাজুর পর চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে নিজের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
তবে ২২৪ বলে ১৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে স্লিপে থাকা কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অক্ষর প্যাটেলের এক ওভারে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম (২৩) ও নুরুল হাসান সোহান (৩)।
সেখান থেকে দিনের শেষ পর্যন্ত আর বিপদ হতে দেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর ওয়ানডে সিরিজ সেরা মেহেদি হাসান মিরাজ। স্বীকৃত ব্যাটারদের শেষ জুটিতে বাংলাদেশের যে ক্ষীণ আশা বাকি, সেটি তাদের ব্যাটে ভর করে। সাকিব ৪০ আর মিরাজ ৯ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন।
ফলে ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ২৪১ রান। কার্যত এই ম্যাচ বাঁচানো বা জয়ের চেষ্টা করা প্রায় অসম্ভব। তবে সবচেয়ে বড় কথা, শেষ দিনের জন্য রোমাঞ্চটা জমিয়ে রেখেছেন তারা।
এএ