লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করা বাণিজ্যিক ব্যাংককে জরিমানা করা করা হয়। এ জমিনার অর্থ দিয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কমন ফান্ড (বিবিএডিসিএফ)’ নামে নতুন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকেই বিবিএডিসিএফ তহবিল কার্যকর হবে।
যেসব ব্যাংক জরিমানা হিসেবে এ তহবিলে টাকা জমা রাখবে তাদের ২ শতাংশ হারে সুদ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন জরিমানার এ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা থাকতো এবং পরের বছর লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত অনার্জিত টাকা বিতরণ করলে সে টাকা টাকা ফেরত দেওয়া হতো। এখন থেকে কৃষিঋণ বিতরণে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোর জরিমানার টাকা কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ ব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রার অনার্জিত অংশের সমান অর্থ ‘বিবিএডিসিএফ‘ তহবিলে জমা রাখতে হবে। অর্থ জমাদানকারী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক জমাকৃত অর্থের উপর ২ শতাংশ হারে সুদ দেবে।
বিবিএডিসিএফ তহবিলে জমাকৃত অর্থ ব্যাংকগুলোর অনুকূলে চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতার ভিত্তিতে বরাদ্দ করা হবে। বরাদ্দ পাওয়ার সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে ২ শতাংশ হারে সুদ আসলে পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাংকগুলোর অনকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা’ অনুযায়ী ৮ শতাংশ হারে কেবল ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষি ঋণ ও পল্লী ঋণ হিসেবে গ্রাহকপর্যায়ে বিতরণ করতে হবে। এনজিও বা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।
ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি কমাতে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের ১ শতাংশ সুদের সমপরিমাণ অর্থ জমা করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ‘রিস্ক মিটিগেশন ফান্ড’ করতে হবে।
বিবিএডিসিএফ থেকে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণের ১ শতাংশ সুদের সমান অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের স্থিতিপত্রের মূলধনের উপাদান ‘জেনারেল রিজার্ভ’একটি খাত হিসেবে প্রদর্শন করে যথাযথভাবে দেখাতে হবে।
বিবিএডিসিএফ থেকে বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত সুদের অবশিষ্ট ৪ শতাংশ সংশ্লিষ্ট আয় খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
এএ/ আইএইচ