নীলফামারীতে মশা তাড়ানোর কয়েলের আগুনে পাঁচ পরিবারের ১১টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জেলা সদরের খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের হেলাবট দোলাপাড়া গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই গ্রামের শারমিন আক্তার জানান, গ্রামের হবিবর রহমানের বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত। এরপর আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হবিবর রহমানসহ প্রতিবেশী গোলাম কিবরিয়া, জহুরুল ইসলাম, নুরুল হক, মজিবর রহমানের টিনশেড বসতঘর ও ঘরে রক্ষিত মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়। এ সময় দুটি গরু দগ্ধ হয়। খবর পেয়ে নীলফামারীর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নীলফামারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মিয়ারাজ উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান রয়েছে।
খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায় বলেন, গ্রামের হবিবর রহমানের বাড়ির শোয়ার ঘরে মশা তাড়ানোর কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে ১১ টিনশেড ঘরসহ ঘরে রক্ষিত মালামাল পুড়ে ছাই হয়। আগুনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলো নিম্ন আয়ের মানুষ। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের তালিকা তৈরি করে সরকারি সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ জানান, বিকেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে দুই হাজার করে নগদ টাকা এবং দুটি করে কম্বল দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে পরবর্তীতে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।
আই এইচ