স্বাদে তিতকুটে হলেও নিমপাতার উপকারিতা বেশ মিষ্টি। নিমপাতার ব্যবহারে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ত্বকের যত্নে তাই বহু বছর ধরে রূপসচেতন নারী-পুরুষদের নির্ভরতার তালিকায় রয়েছে নিমপাতার নাম। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে নিমপাতার কিছু ব্যবহার-
মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং চুল গজানো বেড়ে যায়। নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত।
নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। শুধু চুলের নয় ত্বকের চুলকানিতেও নিমপাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। নিমের তেলে প্রচুর ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড থাকে যা ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী। নিমপাতার বড়ি খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে।
নিমপাতা সেদ্ধ পানি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। কোন ফেসপ্যাক পেস্ট করার সময় পানির বদলে এই নিম পানি ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা সেদ্ধ পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুলকানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়।
কাটা-ছেঁড়া বা পোড়া স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে। নিম পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন পরবর্তীতে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। নিমের ডাল যে দাঁতের জন্য উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের জীবাণু রোধে এটি বেশ কার্যকরী।