নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কম দামে বিক্রির জন্য ভারত থেকে মসুরের ডাল আমদানি করছে সরকার। বেনাপোল বন্দর দিয়ে এরই মধ্যে এসেছে ৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ডাল। টিসিবিতে ভর্তুকি মূল্যে এসব ডাল পাবেন ক্রেতারা।
দেশের ১ কোটি ১ লাখ পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। দেশজুড়ে গত ১৭ অক্টোবর থেকে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে চার হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি করছে সরকার। এরই মধ্যে ৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছে। প্রতি কেজি ডালের আমদানি খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা। তবে ৫৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে মাত্র ৭০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি। আমদানি করা মসুর ডাল যাতে দ্রুত বন্দর থেকে ছাড়া হয়, সে জন্য ২৪ ঘণ্টা বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে বলে জানায় বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘ডাল যাতে স্থলবন্দর দিয়ে দ্রুত খালাস হতে পারে, সে লক্ষ্যে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে।’
টিসিবির ডাল সরবরাহকারী মাহদি হাসান বলেন, ‘সরকারিভাবে চার হাজার মেট্রিক টন ডাল আসার কথা। এরই মধ্যে ৩২০০ মেট্রিক টন ডাল এসেছে। এগুলো এখন টিসিবির বিভিন্ন গোডাউনে পাঠানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ডাল এসে পৌঁছাবে।’
প্রতি মেট্রিক টন মসুর ডালের আমদানি মূল্য ৯০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯৫ হাজার ৪৩৬ টাকা। এর আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবি।
প্রত্যেক পরিবার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৭০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৬০ টাকা দরে ১ কেজি চিনি, ২০ টাকা মূল্যে ২ কেজি পেঁয়াজ ও ১১০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারেন।
এএ