চলতি বছর ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টনে পৌঁছতে পারে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি। গত বছর রফতানির পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টন। সে হিসাবে রফতানি ৩১ লাখ ১০ হাজার টন কমতে পারে। দেশটির পাম অয়েল ফান্ডের (বিপিবিপিকেএস) প্রধান নির্বাহী এডি আব্দুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এপ্রিলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপরিশোধিত পাম অয়েল ও পরিশোধিত পণ্যের রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্বের শীর্ষ উত্পাদক এই দেশ। উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা। কারণ ওই সময় পণ্যটির দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে অবস্থান করছিল। এদিকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাজার নিয়ন্ত্রণে এলে দেশটি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। কিন্তু এর পরও নেতিবাচক প্রভাব রয়ে যায় রফতানিতে। পুরো বছরের রফতানি কমে যাওয়ার পেছনে এ বিষয়কেই দায়ী করা হচ্ছে।
পণ্যটির রফতানি বাড়াতে সম্প্রতি ডমিস্টিক মার্কেট অবলিগেশনসহ (ডিএমও) সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ইন্দোনেশিয়া। এতে চলতি বছর কমলেও আগামী বছর রফতানি বেড়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে মনে করছে পাম অয়েল ফান্ড।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলেও পাম অয়েল রফতানিতে গতি ফেরেনি। ডিএমও নীতিমালার প্রতিবন্ধকতার কারণে ব্যবসায়ীরা রফতানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বর্তমানে দেশটিতে পাম অয়েল ও পাম ফলের মজুদ আকাশচুম্বী। মজুদাগারে নষ্ট হচ্ছে এসব পণ্য।
সমস্যা সমাধানে এরই মধ্যে সব ধরনের পাম অয়েল পণ্যের রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে ইন্দোনেশিয়া। চলতি মাসের শেষ নাগাদ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
এনজে