চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ফেল থেকে পাস করেছে ১ হাজার ১৮৭ পরীক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬৯ জন। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পুনর্নিরীক্ষণে ফলাফলে এই পরিবর্তন এসেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) পুনর্নিরীক্ষণের ফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।
পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফলে দেখা যায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ১০৯ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৫৮ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৮৯ জন, যশোর বোর্ডে ৪৩ জন, সিলেট বোর্ডে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৪৫ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১১৫ জন, বরিশাল ১৪ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছেন। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ২২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৪১৭ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছেন।
এ ছাড়া নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ১০৯ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৩৬ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৩৪ জন, যশোর বোর্ডে ৬১ জন, সিলেট বোর্ডে ৩৮ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৯ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৭ জন, বরিশাল বোর্ডে ৪১ জন পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৪১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ২৭৪ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে পরীক্ষার্থীরা ফল পুনঃ নিরীক্ষার আবেদন করেছেন। সারা দেশের মোট ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৪টি খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ১০। ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। এর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন।
সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পিছিয়ে যাওয়া এ পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে গত ১৭ জুন পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
এরপর প্রায় তিন মাস পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। এতে অংশ নেয় ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী।
এএ