নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার নিতাইগঞ্জে লম্বা সময় ধরেই অস্থিতিশীল চিনির দর। সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশিতেই কিনতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মিল সরবরাহ কম। এ কারণে বাজার অস্থিতিশীল। তবে মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, মিল থেকে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। যতটুকু ততটুকুই বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিতাইগঞ্জের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি বাজারে চিনি বেচাকেনা হচ্ছে ১০৫-১০৬ টাকা কেজি দরে। অথচ ভোক্তার অধিকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে ১০৫ টাকা। অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকা দরে।
নিতাইগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, চিনির বাজারে অস্থিরতার মূল কারণ মিল থেকে চাহিদা অনুযায়ী অপ্রতুল সরবরাহ। ডিও কেটে এক দেড় মাস চিনির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ডিওতে সরবরাহের যে সময় নির্ধারণ করে দেয়া, সে সময়ে চিনি পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত ছয়-সাতদিন মিলগেটে ট্রাক নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। মিলগেটে সবসময় ট্রাকের জটলা লেগে থাকে। এজন্য গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয়। ফলে সব খরচ মিলিয়ে পাইকারি বাজারে আমাদের ১০৫-১০৬ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে।
এনজে