নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লিকেজের আগুনে একই পরিবারের দুই শিশুসহ ৪ জন দগ্ধের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২ জনে।
রোববার রাতে আহতের মধ্যে গৃহকর্তা টেক্সটাইল শ্রমিক জাহিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর মারা যায় গৃহকত্রী রুমা আক্তার। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ডহরগাঁও এলাকায় স্থানীয় জামালউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার আস্তান্দী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে টেক্সটাইল শ্রমিক জাহিদের স্ত্রী রুমা আক্তার নিজ ঘরের ভিতরে থাকা সিলিন্ডার গ্যাসের চুলায় রান্না করতে যায়। এ সময় দিয়াশলাই দিয়ে চুলায় আগুন জ্বালাতে গেলে তাৎক্ষণিক আগুন ঘরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় খাটের ওপর টানানো মশারিতে আগুন লেগে জাহিদসহ তার স্ত্রী রুমা আক্তার, মেয়ে লাবনী ও ছেলে ইয়াছিন দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার ১৮ ডিসেম্বর রাতে মারা যান জাহিদের স্ত্রী রুমা আক্তার। ৭ দিনের ব্যবধানে গতকাল রোববার রাতে মারা যান জাহিদ হোসেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে রূপগঞ্জ থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এম জি