টাঙ্গাইল ও লক্ষ্মীপুরে গতকাল বুধবার রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন টাঙ্গাইলে ও একজন লক্ষ্মীপুরে নিহত হন। র্যাব ও পুলিশ বলছে, নিহত দুজন নিষিদ্ধ চরমপন্থী দলের সদস্য ও একজন সন্ত্রাসী ছিলেন।
গতকাল দিবাগত রাত একটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফজলু ড্রাইভার (৩০), উজ্জ্বল (২১) ও মো. কাউসার (৪০)।
আমাদের টাঙ্গাইল ও লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধির পাঠানো খবর:
টাঙ্গাইল: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৩ ) কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকীর ভাষ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের জুগনিহাট এলাকায় তাঁরা অভিযান চালান। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থী দলের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফজলু ড্রাইভার ও উজ্জ্বলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের লাশ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
র্যাব বলছে, ফজলু ও উজ্জ্বলের বাড়ি খোর্দজুগনী গ্রামে। ফজলুর নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় ২০টি হত্যা মামলা রয়েছে। উজ্জ্বল তাঁর সহযোগী। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, একটি পিস্তল, সাতটি গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে র্যাব জানায়।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহতাবউদ্দিনের ভাষ্য, সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বড়কুল এলাকায় গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে মো. কাউসার গুলিবিদ্ধ হন। সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে তিনি মারা যান। পুলিশ বলছে, কাউসার সন্ত্রাসী ছিলেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যুবদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর ভাষ্য, কাউসার ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী ছিলেন।