বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ (বিসিআই) এর ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিসিআই বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিআই এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)।
সভাপতি বিসিআই এর ২০২১-২০২২ সালের কর্মকান্ডের সার সংক্ষেপ সভায় উপস্থাপন করেন। বিসিআই এর বিগত কর্মকান্ডে মূল্যবান সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য তিনি বিসিআই এর উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ পরিচালক ও সদস্যবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানান। তিনি অনুরূপ সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় বিসিআই এর উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি মিসেস প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম নিরু সহ বিসিআই এর অন্যান্য পরিচালক ও অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ভিত্তিক শিল্প খাত, শিল্প ক্ষেত্রে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস এবং অর্থায়নের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং বিসিআই সভাপতি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিসিআই সভাপতি বলেন, যেহেতু বিসিআই সমগ্র বাংলাদেশ ভিত্তিক একক এবং একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার সেহেতু স্থানীয় সকল শিল্পের পথে সর্বপ্রকার প্রতিবন্ধকতা নিরসনে আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করতে হবে। বিসিআই নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প উন্নয়ন এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ভিত্তিক শিল্প খাতের উন্নয়নে কাজ করছে এবং কাজ করে যাবে। বর্তমান করোনা ও ইউক্রেন সংকটের বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা ও শত প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। দেশের শিল্প খাতে কর ব্যবস্থা শিল্প বান্ধব নয়। কর ব্যবস্থায় ব্যবসায় কোন লস বিবেচনা করা হয়না, খাত ভিত্তিক জিপি নির্ধারন করা হয় যা যুক্তি সংগত নয়। বর্তমান সংকটকালিন সময়ে প্রায় ৪০% মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ঝরে পড়ছে। আমাদের সকলকে মাইক্রো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ঝরে পড়া রোধে কাজ করতে হবে।
বিসিআই সভাপতি বলেন, দেশে একদিকে যেমন বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি আবার শিল্পে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। আর এই কারনে বিসিআই দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষে ইতো মধ্যে এস.এম.ই ফাউন্ডেশন এর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। তরুণ উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র, কুটির এবং যুব উদ্যোক্তা তৈরি এবং বিকাশের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করবে বিসিআই। বিসিআই সভাপতি বলেন, আমরা আশা করছি দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার শুন্য শতাংশে নেমে আসবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে। তিনি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিসিআই এর সকল সদস্য ও পরিচালকদের একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বিসিআই সভাপতি বিদ্যুৎ,গ্যাস ,পানি সহ সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়ি হ্ওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
সভায় নির্ধারিত সকল আলোচ্যসূচী আলোচনা করা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।
সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিচালক এবং সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এএ