বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা অব্যহত থাকার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি ব্লকের খেলার মাঠে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবার উদ্দেশে সালাম দেন। তিনি বলেন, ‘শুভ অপরাহ্ন। আমি বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। ১০ দিন হলো আমি বাংলাদেশে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। দীর্ঘ দিনের। নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আমি কাজ করে যাব। আর বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
এ সময় হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানি নাগরিকদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের এই মুহূর্তটি জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে এটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।’
ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘সত্তরের দশকের শুরু থেকে জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা বিষয়ে নজর দেয়। এখন এটি মধ্য আয়ের দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূর্ণতা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
পরে রাষ্ট্রদূত শেষে বাংলায় ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। বক্তব্যের একটি অংশ বাংলায় দেওয়ার সময় সুধী সমাবেশস্থলে ব্যাপক করতালি পড়ে। সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় এ মেগা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল লাইন (উত্তরা-মতিঝিল) নির্মাণ কাজ ২৬ জুন, ২০১৬ সালে শুরু হয়। বুধবার এ লাইনের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন করা হয়েছে।
জনসাধারণের জন্য স্বপ্নের এ বাহনের দ্বার খুলবে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। আপাতত সীমিত যাত্রী নিয়ে চলবে। যাতে যাত্রীরা ১০ মিনিটেই এ পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন।
এএ