চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সিপাহী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দু-দফায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে নগরের পাহাড়তলী থানার সাগরিকা রোডে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সিপাহী পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী চলমান এই পরীক্ষা বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) শেষ হয়।
এতে শারীরিক এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষার প্রথম দিনে ১৮ জনকে আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন- মোবারক হোসেন, আক্তারুজ্জামান, খলিলুর রহমান, এনামুল হক, শহীদুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন, আব্দুর রশিদ, সবুজ চন্দ্ৰ, জয় চন্দ্র দে, বাবুল মিয়া, আরিফুর রহমান, সুজন সরকার, নিতোষ চাকমা, সোহেল রানা, মো. ইলিয়াছ, কাজী দেলোয়ার হোসেন, আবুল বাশার ও রফিকুল ইসলাম।
তাদের স্বাক্ষর লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মিলছিল না। এছাড়াও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা লিখিত পরীক্ষায় আসা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর মৌখিকে দিতে পারেননি। যদিও ওইসব প্রশ্নের উত্তর তারা লিখিত পরীক্ষায় পেরেছিলেন।
একই অভিযোগে বুধবার শেষদিনে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তারা হলেন- শামীম আখন্দ, শামীম প্রধান, রফিকুল ইসলাম, মো. নূরনবী ও শাহেদ।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা রোজিনা খাতুন বলেন, ২৬ ডিসেম্বর রাতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির অভিযোগে ১৮ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। তাদের বিরুদ্ধে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৮ জনের বিরুদ্ধে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৭ ডিসেম্বর তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, একই অভিযোগে আজ (বুধবার) আরও পাঁচজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তাদের নাম উল্লেখ এবং আরও পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আরেকটি মামলা রুজু করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচজনকে আজকে আদালতে পাঠানো হয়। প্রথম মামলার বাদী দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেছেন। প্রত্যেক মামলায় যতজন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে ততজনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। কারণ প্রত্যেকের বিপরীতে টাকার বিনিময়ে একজন করে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বলে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলা দুটির মধ্যে প্রথমটি থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম ও দ্বিতীয়টি এসআই এনামুল হক তদন্ত করছেন বলে পুলিশ জানায়।
জানা গেছে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে প্রকাশিত দুটি বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে সিপাহী পদে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নানা আইনি জটিলতা শেষে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ওই পদগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আই এইচ