কুমিল্লায় আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬ তরুণী, ৭ পুরুষ ও হোটেলের ৬ স্টাফসহ ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে সদর উপজেলার ঝাগুরঝুলি এলাকার রাজধানী নামের একটি আবাসিক হোটেলে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার তরুণীদের এনে পতিতাবৃত্তি করা হচ্ছিল। এছাড়াও ওই হোটেলে মাদক সেবনসহ মেয়েদের দিয়ে ফাঁদে ফেলে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ওই হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ২৬ জন নারী, ৭ জন খদ্দের এবং হোটেলের ৬ স্টাফকে গ্রেফতার করে। তবে পালিয়ে যায় এ অনৈতিক ব্যবসার অন্যতম হোতা হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন শান্ত।
পলাতক শান্ত জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নোয়াবগঞ্জ গ্রামের সায়েদ আলীর পুত্র।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হানিফ সরকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীরা জানিয়েছেন- তারা কেউ ৭ দিন আগে কেউ ২-৩ দিন আগে এ হোটেলে এসেছেন। এ হোটেলে গড়ে ১০-১২ দিন থাকার পর তারা অন্য হোটেলে উঠতেন, তারা পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে এ পেশায় এসেছেন বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার ২৬ নারী ও ৭ খদ্দেরকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ৬ হোটেল কর্মচারী ও পলাতক হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন শান্তের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে।
এএ