বোলিং শক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তার পরেও বক্সিং ডে টেস্টে অজিদের আধিপত্যের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা পেরে উঠেনি। চার দিনের মাঝে সফরকারীদের এক ইনিংস ও ১৮২ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে স্বাগতিক দল।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বশেষ হোম সিরিজ জয়টা এসেছিল ২০০৫-০৬ মৌসুমে। তার পর আগের টানা তিন সিরিজেই জয় ছিল প্রোটিয়াদের। কামিন্সরা অবশ্য সিডনিতে যাওয়ার আগে তা টানা চার হতে দেয়নি। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা সুতোর ওপর ঝুলে গেছে। সেই সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে শেষ টেস্টটা অবশ্যই জিততে হবে। যদিও তিন ম্যাচের সিরিজ তারা এরই মধ্যে ২-০ তে হেরে গেছে।
মেলবোর্নে রানের পাহাড়ে পিষ্ট হওয়া প্রোটিয়ারা গত কালকেই বিপদে ছিল। দ্বিতীয় ওভারে হারায় ডিন এলগারকে। তার পর দেখার ছিল নতুন দিন তাদের প্রতিরোধটা কতক্ষণ টেকে। সব মিলিয়ে ৬৮.৫ ওভার টিকেছে প্রতিরোধ। দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পেরেছে ২০৪ রান। তাও আবার সেটা সম্ভব হয়েছে তেম্বা বাভুমার ৬৫ ও কাইল ভেরেইনের ৩৩ রানের সুবাদে।
অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন অফস্পিনার নাথান লায়ন। ৫৮ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী। ১৬ ওভার বল করে ২০ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন। আঙুল চোট নিয়ে বল করা মিচেল স্টার্কও ৬২ রানে নিয়েছেন একটি। ৪৯ রানে দুটি শিকার ছিল স্কট বোল্যান্ডের। স্টিভেন স্মিথও একটি উইকেট নিয়েছেন ৯ রানের বিনিময়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৬৮.৪ ওভারে ১৮৯ (ইয়ানসেন ৫৯, ভেরেইন ৫২; গ্রিন ৫/২৭, স্টার্ক ২,৩৯)
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮.৫ ওভারে ২০৪ (বাভুমা ৬৫, ভেরেইন ৩৩, ব্রুইন ২৮; লায়ন ৩/৫৮, বোল্যান্ড ২/৪৯)
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ১৪৫ ওভারে ৫৭৫/৮ ডি. (ওয়ার্নার ২০০, ক্যারি ১১১, স্মিথ ৮৫, গ্রিন ৫১*, হেড ৫১; নর্কিয়া ৩/৯২, রাবাদা ২/১৪৪)
ফল: অস্ট্রেলিয়া এক ইনিংস ও ১৮২ রানে জয়ী।
আই এইচ