চলতি সপ্তাহে এশিয়ার চালের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলো আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশি দামেই পণ্যটি রফতানি করেছে। আমদানিকারক দেশগুলোয় ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা এবং বৈরী আবহাওয়ায় উৎপাদন ঘাটতি দাম বাড়াতে সহায়তা করছে। পাশ পাশি চীনের লকডাউনসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ শিথিল করে নেয়ার বিষয়টিও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল টনপ্রতি ৩৭৫-৩৮২ ডলারে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৪-৩৮০ ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে নতুন চাল উঠেছে। স্থানীয় বাজারে বাড়তে শুরু করেছে সরবরাহ। এ কারণে দাম বেশি বাড়েনি।
ভারতের চাল রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বি ভি কৃষ্ণ রাও বলেন, রফতানি বাজারে বর্তমানে সাদা চালের চেয়ে সেদ্ধ চালের চাহিদা বেশি। এছাড়া প্রতিযোগিতার বাজারে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় চালের বাজারদর।
৩০ নভেম্বর ভাঙা চালসহ অর্গানিক নন-বাসমতি চালের ওপর থেকে রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে ভারত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানি নীতিতে আনা পরিবর্তন সফলতা মুখ দেখেছে। এরই মধ্যে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি দামও স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিন মাস ধরে এসব চাল রফতানি বন্ধ ছিল। এর ফলে প্রধান প্রধান আমদানিকারক দেশগুলো বিপাকে পড়ে যায়। ফের রফতানি শুরুর ঘোষণা আসায় আমদানিকারক দেশগুলোয় স্বস্তি ফিরেছে। শস্যটির রফতানি মূল্যও কমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক চাল বাণিজ্যে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাই ভারতের। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি সব মিলিয়ে ২ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল রফতানি করে। এর আগের অর্থবছর রফতানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার টন। কভিড-১৯ মহামারী শুরুর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশটি রফতানি করেছিল ৯৫ লাখ ১০ হাজার টন। অর্থাৎ গত অর্থবছর চাল রফতানি মহামারীপূর্ব পর্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এ বছর পণ্যটি রফতানিতে মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশটি।
অন্যদিকে ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ফ্রি অন বোর্ড চুক্তিতে রফতানি হচ্ছে টনপ্রতি ৪৫৮ ডলারে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের পর এটিই সর্বোচ্চ দাম। এক সপ্তাহ আগেও দেশটি প্রতি টন চাল ৪৪৮-৪৫৩ ডলারে রফতানি করেছিল।
এনজে