রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এবার রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ করল যুক্তরাজ্য। দেশটি গত বছরই এ-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছিল, যা চলতি বছরের প্রথম দিন কার্যকর হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিস।
বিদায়ী বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে ব্রিটিশ ফরেন অফিস রাশিয়ান এলএনজি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়। লন্ডন যাতে রাশিয়ান জ্বালানিনির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
ফরেন অফিস গত শনিবার জানায়, ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশটির জ্বালানি আয় কমানোই এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও রুশ জ্বালানি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করছে ব্রিটেন।
২০২১ সালে যুক্তরাজ্য রাশিয়া থেকে ৩১২ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করেছিল, যা মোট চাহিদার প্রায় ৪ শতাংশ। দেশটি প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে।
গত বছরের জুনে তখনকার ব্রিটিশ বাণিজ্য ও জ্বালানিমন্ত্রী জানান, দেশটি রাশিয়া থেকে খুব সামান্য পরিমাণ গ্যাস ক্রয় করে। তাছাড়া গত বছরে ২০২১ সালের তুলনায় আমদানি প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে তখনই অপরিশোধিত ও পরিশোধিত রুশ জ্বালানি আমদানি শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস জানায়, নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া ছিল ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী। ২০২১ সালে মোট আমদানির ২৪ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। একই সময় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল এসেছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অফিসের দেয়া তথ্য বলছে, বিদায়ী বছর ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় এলএনজি সরবরাহ উৎস হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর রাশিয়ার পরিবর্তে কাতার ও আজারবাইজান থেকে এলএনজি চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটেনের।
এনজে