পেনশন সঞ্চয়পত্রে ক্রেতার ক্রয়সীমা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর। এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রতি মাসে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। বর্তমানে চার প্রকার সঞ্চয়পত্রের মধ্যে শুধু পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রতিমাসে দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে পরিবার সঞ্চয়পত্রে পুরুষ ক্রেতার বয়সসীমা ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৫০ বছরে আনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বয়স ১৮ হলেই মহিলা, শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা এবং ৬৫ বছর ও তার বেশি পুরুষ ও মহিলা সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা ৫০ লাখ টাকা ছিল। এখন এক কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ডুপ্লিকেট ইস্যুও ম্যানুয়ালি করা যাবে।
এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা অর্থ বিভাগের কাছে পাঠিয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হলে বেশি সংখ্যক পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার আওতায় আসবে। প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়পত্র বেশি পরিমাণে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলে সেটি কার্যকর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তিন মাসের মুনাফা একসঙ্গের পরিবর্তে প্রতিমাসে দেওয়া হলে ব্যক্তি সে টাকা কাজে লাগাতে পারবেন।
এমন সময় এ ধরণের প্রস্তাব দেওয়া হলো, যখন জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের মেয়াদ শেষে তুলে নিচ্ছে ও নতুন বিনিয়োগ কমে আসছে। এ প্রস্তাবনা গ্রহণ করলে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
এএ