ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চলতি টিভি সম্প্রচার চুক্তির এক বছরের বেশি বাকি আছে এখনও। এর মধ্যেই তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে পরবর্তী সাত বছরের চুক্তি। চোখধাঁধানো অঙ্কে আবারও অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচার সত্ত্ব পেয়েছে ফক্সটেল গ্রুপ ও সেভেন ওয়েস্ট মিডিয়া।
২০১৮ থেকে শুরু হওয়া বর্তমান চুক্তি শেষ হবে আগামী বছর। সেখান থেকেই ২০৩১ পর্যন্ত সাত বছরের নতুন চুক্তিতে ১৫১ কোটি ২০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
চুক্তি অনুযায়ী, এখনকার মতোই অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের সব টেস্ট ম্যাচ ও মেয়েদের সব আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখাবে ফক্সটেল ও চ্যানেল সেভেন। এছাড়াও ফক্সটেলের স্ট্রিমিং সহযোগী কায়ো স্পোর্টস ও সেভেনের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম সেভেনপ্লাসেও দেখা যাবে ম্যাচগুলি।
যথারীতি বিগ ব্যাশের ম্যাচও থাকছে এই চুক্তির আওতায়। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির এই টুর্নামেন্টের ১৪তম আসর থেকে বদলে যাচ্ছে কাঠামো। ৬১ ম্যাচের টুর্নামেন্ট নেমে আসবে ৪৩ ম্যাচে। মূলত টুর্নামেন্টকে আরও আকর্ষণীয় করতে স্কুলের ছুটির সময়টা ধরতে এবং প্রাইম টাইমে বেশি ম্যাচ আয়োজন করতেই এই পরিবর্তন। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এবং আন্তর্জাতিক তারকাদের বেশি অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা যাবে এতে।
ছেলেদের বিগ ব্যাশের ৪৩ ম্যাচের ৩৩টি এবং মেয়েদর বিগ ব্যাশের ২৩ ম্যাচ সম্প্রচার করতে চ্যানেল সেভেন ও তাদের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। এর মধ্যে থাকবে নতুন কাঠামোর আওতাভুক্ত বিগ ব্যাশের তিনটি ফাইনাল ম্যাচও। এই ম্যাচগুলিসহ ছেলেদের বিগ ব্যাশের বাকি ১০টি ম্যাচ ‘এক্সক্লুসিভলি’ সম্প্রচার করবে ফক্সটেল ও তাদের স্ট্রিমিং সহযোগী কায়ো স্পোর্টস।
ছেলেদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সম্প্রচার সত্ত্ব এখনকার মতোই থাকছেন ফক্সটেল ও কায়ো স্পোর্টসের।
আর্থিক এই বিশাল অঙ্কের পাশাপাশি আরও একটি সঙ্কট কেটেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। কোভিড মহামারীর সময় বিগ ব্যাশের মৌসুমে সম্প্রচার চুক্তি ভাঙা নিয়ে চ্যানেল সেভেনের সঙ্গে তাদের যে আইনী লড়াই চলছিল, তা তুলে নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সেভেন কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে এই চুক্তিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য মাইলফলক হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ফক্সটেলের মৌলিক সাবস্ক্রাইবার ৪৬ লাখ। তাদের মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার স্ট্রিমিং সহযোগী কায়ো স্পোর্টসের। ফ্রি-টু-এয়ার চ্যানেলগুলোর সবচেয়ে বেশি রেটিং পাওয়া প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে বরাবরই জায়গা করে নিয়েছে চ্যানেল সেভেনের টেস্ট ম্যাচ সম্প্রচার।
এএ