মার্কিন ডলারে বিপরীতে টাকার মান কমাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক টাকা বাড়িয়ে ডলারের দাম ১০০ টাকা করা হয়েছে। এখন বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক জরুরি পণ্য আমদানিতে যে ডলার বিক্রি করবে, তার প্রতি ডলারের মূল্য হবে ১০০ টাকা। এক বছর আগেও এই ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা।
সবশেষ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) জরুরি পণ্য আমদানির জন্য নতুন দামে দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে ৭৮ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বাজারের দামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে নতুন করে ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। ডলারের দাম সমন্বয় এটা নিয়মিত কার্যক্রম।
এর আগে রোববার (১ জানুয়ারি) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) শীর্ষ নেতারা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও ১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দর নির্ধারণ করেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে এবিসির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমনি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে। ফলে নতুন করে আরও এক টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানি আয় ব্যাংকগুলো সংগ্রহ করবে ১০২ টাকা করে। রপ্তানি আয় বাড়ানো হলেও প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম আগের মতো ১০৭ টাকা রয়েছে।
ডলার-সংকট প্রকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এই দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর দুই সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে আসছেন। শুরুতে রপ্তানি আয়ে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৯৯ টাকা ও প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা। আর ডলারের পাঁচ দিনের গড় খরচের চেয়ে ১ টাকা বেশি দামে আমদানি দায় শোধ করতে বলা হয়। পরে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বৈঠক করে নতুন দর নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এএ