৯৪ শতাংশ বেড়েছে ভারতের পাম অয়েল আমদানি
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০১-০৫ ০৯:৩০:২০
রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে ভারতের পাম অয়েল আমদানি। ডিসেম্বরে আমদানি এক বছরের ব্যবধানে ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলগুলোর বিপরীতে ব্যাপক মূলছাড়ের কারণে দেশটির পরিশোধন কেন্দ্রগুলোয় পণ্যটির চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল ক্রেতা। দেশটির ঊর্ধ্বমুখী আমদানি ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াকে ক্রমবর্ধমান মজুদ কমাতে সহায়তা করছে। পাশাপাশি বিষয়টি পণ্যটির দামও বাড়িয়েছে। বর্তমানে পাঁচ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দামে এটি লেনদেন হচ্ছে।
গত মাসে ভারতের পাম অয়েল আমদানি ১১ লাখ টনে পৌঁছেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় বাড়লেও বিদায়ী বছরের নভেম্বরের তুলনায় আমদানি কিছুটা কমেছে। ওই সময় দেশটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছিল।
জিজিএন রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার রাজেশ প্যাটেল বলেন, পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের দামের ব্যবধান স্বাভাবিক বাজার প্রবণতার তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে। তবে ধীরে ধীরে এ ব্যবধান কমছে।
ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য ক্রেতারা বেশির ভাগ ক্রয়াদেশই নভেম্বরে ইস্যু করেন। তখন প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ছিল প্রায় ৪৬০ ডলার। একই সময় সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল এর চেয়ে অনেক বেশি দামে লেনদেন হয়েছে।
ডিলাররা বলছেন, ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর দেশটিতে পাম অয়েল ও পাম ফলের মজুদ ব্যাপক বেড়ে যায়। মজুদকৃত এসব পাম অয়েল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর দেশটির প্রধান লক্ষ্যই ছিল মজুদ লক্ষণীয় মাত্রায় কমানো। এজন্য রফতানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়। আকর্ষণীয় মূল্যছাড়ে দেশটি ভারতের বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি করে।
এনজে