রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত তিন ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দীনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করে।
স্মারকলিপিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ আরো জানানো হয় -ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যার সাথে জড়িত শিবির ক্যাডারদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যাবতীয় হয়রানিমূলক ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার কর্তৃক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কর্তনকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা ও চিকিৎসার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু আগামী ১১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন পালন করার ঘোষণা দেন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আনিকা ফারিহা জামান, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজীব, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দ্বে উপাচার্য দপ্তরের অপেক্ষামান কক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনিরকে মারধর করে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, সহসভাপতি তন্ময়ানন্দ অভি ও শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন-অর-রশীদ। আর ঘটনার দুদিন পর উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বিশেষ ক্ষমতাবলে জড়িত তিনজনকে সাময়িক বহিস্কার করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তদন্ত শেষে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এর ওপর ভিত্তি করে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/এসএস